কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বায়তুল মোকাররম- গুলশান ও ধানমন্ডিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেবে দলটির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান নেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর এসব স্থানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জমায়েত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও আজ বুধবার রাত থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পলাতক খুনি শেখ হাসিনাসহ তার দোসদের যথাযথ বিচারের দাবিতে ১৫ আগস্ট বায়তুল মোকাররম ১নং গেট থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। সাইন্সল্যাব থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম। দুটি স্থানেই সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা অবস্থান করবেন।’
এদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব, শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে অসংখ্য নিরীহ আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা, গত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দানবে পরিণত করার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নৃশংসতার মূল হোতা পলাতক খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের যথাযথ বিচারের দাবিতে’ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।